১) ওয়েব পোর্টাল :
অত্র কার্যালয়ের নিজস্ব ওয়েব পোর্টাল চালু করা হয়েছে। এখন থেকে সেবাপ্রার্থীগণ ঘরে বসে বিভিন্ন আবেদন করা সহ যাবতীয় তথ্যাবলী সম্পর্কে অবগত হতে পারবেন। পূর্বে বিবিধ মোকদ্দমা, নামজারী মোকদ্দমাসহ বিভিন্ন শুনানী ও নির্ধারিত তারিখ জানতে এবং আবেদন করতে অফিসে একাধিক বার যোগাযোগ করতে হতো। এতে করে সেবাপ্রার্থীদের সময় ও অর্থ উভয়ই নষ্ট হতো। উক্ত ওয়েব পোর্টালে সেবাপ্রার্থীদের জন্য বিবিধ মোকদ্দমা, নামজারী ও জমাভাগ মোকদ্দমা, বিভিন্ন নকলাদি ইত্যাদি বিষয়ে অনলাইনে আবেদনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া পরবর্তী হাজিরার তারিখ, অন-লাইন নোটিশ বোর্ড ইত্যাদির তথ্য নিয়মিত আপডেট করা হচ্ছে। এখানে কর ক্যালকুলেটার এর মাধ্যমে একজন সেবাপ্রার্থী ঘরে বসে নিজে নিজেই ভূমি উন্নয়ন কর নিরূপন করতে পারবেন। এর ফলে সময় ও অর্থের অপচয় লাঘব হয়েছে।
২) রেকর্ডরুম নির্মাণ :
দীর্ঘদিনের অপরিকল্পিত ও অবিন্যস্ত অবস্থায় সংরক্ষিত নথিসমূহ আধুনিক রেকর্ডরুম নির্মাণ করে পরিকল্পিত উপায়ে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। পূর্বে যথাযথভাবে নথি সংরক্ষণের অভাবে অনেক নথি নষ্ট হয়ে গেছে আবার অনেক নথি খুঁজে পাওয়া যেতো না। তাছাড়া অবিন্যস্ত অবস্থায় নথী খুঁজে বের করতে প্রচুর সময় ব্যয় হতো। সুবিন্যস্ত ও পরিকল্পিত উপায়ে নথি সংরক্ষণ শতভাগ নিশ্চিত করা হয়েছে। ফলে দ্রুত নথী খোজেঁ বের করা সম্ভব হয়েছে। তাছাড়া এখন নথি হারিয়ে যাওয়া বা নষ্ট হওয়ার আশংকাও নেই।
৩) অফিস ব্যবস্থাপনায় আইসিটি :
অত্রাফিসের অফিস ব্যবস্থাপনায় তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে। নামজারী পর্চা, চাহিত নকল ইত্যাদি কম্পিউটার কম্পোজ করে সরবরাহ করা হচ্ছে। উর্ধ্বতন ও অধ:স্তন অফিসসমূহে ই-মেইলের মাধ্যমে চিঠিপত্র ও প্রয়োজনীয় তথ্যাদি আদান-প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া সরকারি খাস সম্পত্তির তথ্যাবলী, রেকর্ডরূমের তথ্যাবলী, বিবিধ মোকদ্দমার তথ্যাবলী, নামজারী ও জমাভাগের তথ্যাবলী ইত্যাদি কম্পিউটারাইজড পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। পূর্বে অধ:স্তন অফিসগুলোতে যোগাযোগ ছিলো সময় সাপেক্ষ। প্রয়োজনীয় চিঠিপত্র আদান প্রদানে প্রচুর সময় ব্যয় হতো। তাছাড়া সরকারি খাস সম্পত্তির তথ্যাবলী, রেকর্ডরূমের তথ্যাবলী, বিবিধ মোকদ্দমার তথ্যাবলী, নামজারী ও জমাভাগের তথ্যাবলী ইত্যাদি বিছিন্নভাবে থাকায় তথ্য পেতে প্রচুর সময় ব্যয় হতো। বর্তমানে অনলাইনের মাধ্যমে অধ:স্তন অফিসের যোগাযোগ সহজতর হয়েছে এবং ইমেইলের মাধ্যমে চিঠিপত্র আদান প্রদানের কারণে অফিস ব্যবস্থাপনায় গতিশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাছাড়া তৎক্ষনিকভাবে খাস সম্পত্তির তথ্যাবলী, রেকর্ডরূমের তথ্যাবলী, বিবিধ মোকদ্দমার তথ্যাবলী, নামজারী ও জমাভাগের তথ্যাবলী ইত্যাদি পাওয়া সহজ হয়েছে।
৪) গণশুনানী :
এ অফিসে গণশুনানীর মাধ্যমে সেবাপ্রার্থীদের চাহিত সেবা ও অভিযোগের বিষয়ে সরাসরি সাক্ষাৎকার গ্রহণের মাধ্যমে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সেবা নিশ্চিতকরণে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন। পূর্বে গণশুনানীর ব্যবস্থা না থাকায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) সরাসরি সেবাপ্রার্থীদের অভিযোগ, মতামত ইত্যাদি জানতে পারতেন না। বর্তমানে সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্তৃক প্রতিটি কর্মদিবসে সরাসরি গণশুনানী ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং সেবাপ্রাথীদের অভিযোগ এবং মতামতসহ দ্রুত সেবার বিষয়টি শতভাগ নিশ্চয়ত করা হয়েছে।
৫) ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সাথে দ্রুত যোগাযোগের ব্যবস্থা :
সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সাথে আন্ত:যোগাযোগে গতিশীলতা বৃদ্ধি করার মাধ্যমে অফিস ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়ন করা হয়েছে। পূর্বে আন্ত:অফিস যোগাযোগ ছিলো সময় সাপেক্ষ। তাৎক্ষনিক কোন বিষয়ে অধ:স্তন অফিসের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হতো না। বর্তমানে ইমেইল ও মোবাইল ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে তাৎক্ষনিক ভাবে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস